ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিভিন্ন সেবা নিতে যাওয়া নারী,শিশু ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষদের জন্য আলাদা গণশৌচাগার স্থাপন করা হয়েছে। ঢামেক কর্তৃপক্ষের সার্বিক সহযোগিতায় রোটারী ক্লাব অব ঢাকা রোজ ভেল ও অ্যাকুমেন একাডেমীর এর অর্থায়নে বহির্বিভাগ থেকে বের হওয়ার পথে এ টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে। জাহাজের কনটেইনারকে সংস্কার করে টয়লেটে রূপান্তর করতে কারিগরী সহায়তা দিয়েছে ভূমিজ।
গতকাল বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব.মোসাইদুর রহমাসনর উপস্থিতিতে টয়লেটটি উদ্বোধন করা হয়।সচিব এ উদ্যোগের দারুণ প্রশংসা করেন। তিনি বলেন,এরকম শৌচাগার অন্যান্য হাসঅপাতালেও প্রয়োজন রয়েছে। নতুন এ উদ্যোগের ফলে হাসপাতালে যাওয়া নারীরা স্বস্তি পাবেন।
আধুনিক এ গণশৌচাগারে নারী ও শিশুদের জন্য দুটি টয়লেট চেম্বার ও দুইটি বেসিন রয়েছে। এছাড়া বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষদের ব্যবহারের উপযোগী একটি আলাদা টয়লেট ও বেসিন আছে। এখানে শিশুদের ডায়াপার বদলের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।
এ টয়লেটটিতে অটোমেটিক এন্ট্রি গেইট সংযুক্ত করা হয়েছে। ব্যবহারকারীরা ভূমিজ স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে টয়লেটের ভিতরে প্রবেশ করতে পারবেন।প্রতিবার ব্যবহার ফি ৫ টাকা। তবে শিশুদের জন্য এ সেবা বিনামূল্যে দেয়া হবে। শনি থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬ টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত টয়লেটটি খোলা থাকবে। প্রশিক্ষিত দক্ষ পরিচলনা কর্মীর মাধ্যমে ভূমিজ টয়লেটটির সার্বিক পরিচালনা করা হবে।
এ টয়লেট নির্মাণে খরচ হয়েছে ১৫ লাখ টাকা। ভূমিজ পরিচালিত টয়লেটের সংখ্যা এখন ১৩টি। প্রতিদিন প্রায় সাড়ে ৩ হাজার মানুষ এ সুবিধা ব্যবহার করে।
জাহাজের কনটেইনার সংস্কারের মাধ্যমে তৈরি ঢাকায় এটি দ্বিতীয় গণশৌচাগার। এর আগে গুলশান ডিএনসিসি-১ কাঁচাবাজারে এমন আরেকটি গণশৌচাগার তৈরি করা হয়।এ বিষয়ে শৌচাগার নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ভূমিজের প্রতিষ্ঠাতা ফারহানা রশীদ বলেন,যথাযথ সহযোগিতা পেলে এ সেবা দেশে্র বিভিন্ন স্থানে নিশ্চিত করা সম্ভব।