ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসা নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধীদের স্বাস্থ্যসম্মত ও পরিষ্কার আধুনিক টয়লেট-সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যে হাসপাতালের বহির্বিভাগ থেকে বের হওয়ার পথে শুধু নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধীদের জন্য ইস্পাতের বহনযোগ্য গণশৌচাগার স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জাহাজের কনটেইনারকে সংস্কার করে এ টয়লেট নির্মাণে খরচ হবে ১৫ লাখ টাকা।
শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজের পাবলিক টয়লেট স্থাপন ও পরিচালনার জন্য রোটারি ক্লাব অব ঢাকা রোজ ভেল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও প্রকল্প বাস্তবায়ন সংস্থা ভূমিজের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। একই সঙ্গে প্রকল্পটির নির্মাণকাজ উদ্বোধন করা হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক বলেন, হাসপাতালটিতে অনেক নারী চিকিৎসার জন্য আসেন। সঠিক শৌচাগার ব্যবস্থাপনার অভাবে তাঁরা সমস্যায় পড়েন। নতুন এ উদ্যোগের ফলে নারীরা স্বস্তি পাবেন।
জাহাজের কনটেইনার সংস্কারের মাধ্যমে তৈরি ঢাকায় এটি দ্বিতীয় গণশৌচাগার। এর আগে গুলশান ডিএনসিসি-১ কাঁচাবাজারে এমন আরেকটি গণশৌচাগার তৈরি করা হয়। শৌচাগার নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ভূমিজের প্রতিষ্ঠাতা ফারহানা রশীদ বলেন, ‘কনটেইনার থেকে শৌচাগার তৈরির সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে এগুলো বহনযোগ্য। সহজেই এর জায়গা বদল করে ফেলা যায়, ফলে নতুন করে কোনো উন্নয়নকাজ করলে এটাকে ভাঙতে হবে না।’
কনটেইনার থেকে তৈরি এমন গণশৌচাগারে নারী ও শিশুদের জন্য দুটি টয়লেট ও বেসিন থাকছে। এ ছাড়া প্রতিবন্ধীদের ব্যবহারের উপযোগী একটি আলাদা টয়লেট ও বেসিন থাকছে।
পাবলিক টয়লেট স্থাপনের অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি রোটারি ক্লাব অব ঢাকা রোজ ভেল ক্লাবের প্রেসিডেন্ট শাহিদা আলম বলেন, ‘সঠিক শৌচাগার ব্যবহারের অভাবে বাংলাদেশের নারীরা বাধাগ্রস্ত হন, তাঁদের কিছুটা সহায়তা করতে পেরে আমরা আনন্দিত।’
অনুষ্ঠানটিতে অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের সহকারী পরিচালক আশরাফুল আলম, ভূমিজ লিমিটেডের চিফ অপারেশন অফিসার মাসুদুল ইসলাম।