নিজস্ব প্রতিবেদক : মহাখালী ফ্লাইওভারের নিচে জেব্রাক্রসিং সংলগ্ন স্থানে একটি আধুনিক ভাসমান গণশৌচাগার স্থাপন করা হয়েছে। রাওয়া ক্লাব মোড়ে আসা পথচারীদের জন্য এ গণশৌচাগারটি স্থাপন করা হয়। গতকাল রবিবার এটি উদ্বোধন করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল মনজুর। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ইউনিলিভারের মার্কেটিং বিভাগের পরিচালক তানজিন ফেরদৌস, নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ভূমিজের প্রতিষ্ঠাতা ফারহানা রশীদ এবং সহপ্রতিষ্ঠাতা মাসুদুল ইসলাম।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও ভূমিজের কারিগরি সহায়তায় এবং ইউনিলিভার ও ফরেইন, কমনওয়েলথ এন্ড ডেভেলপমেন্ট অফিসের অর্থায়নে আধুনিক ভাসমান এই গণশৌচাগারটি নির্মিত হয়েছে।
গণশৌচাগারে পুরুষ ব্যবহারকারীদের জন্য একটি কমোড ও দুটি প্যান টয়লেট চেম্বার, একটি ইউরিনাল এবং দুটি বেসিন রয়েছে। নারী ও শিশু এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য রয়েছে একটি আলাদা কমোড ও বেসিন। এখানে শিশুদের ডায়াপার বদলের সুব্যবস্থাও রয়েছে। আধুনিক এই টয়লেটে অটোমেটিক এন্ট্রি গেট সংযুক্ত করা হয়েছে। ব্যবহারকারীরা ভূমিজ স্মার্টকার্ডের মাধ্যমে টয়লেটের ভেতরে প্রবেশ করতে পারবেন। টয়লেট পরিচারিকার কাছ থেকে এ স্মার্টকার্ড সংগ্রহ করা যাবে।
প্রতিবার ব্যবহার ফি ৫ টাকা। শিশুরা ব্যবহার করতে পারবে বিনামূল্যে। শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত টয়লেটটি ব্যবহারের সুযোগ থাকবে।
উদ্বোধন শেষে কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল মনজুর বলেন, ঢাকা শহরে এ রকম নারীবান্ধব ও স্বাস্থ্যসম্মত গণশৌচাগার নির্মাণ ও পরিচালনা খুবই চমৎকার একটি উদ্যোগ। এ রকম শৌচাগার অন্যান্য স্থানেও প্রয়োজন রয়েছে।
নতুন এ উদ্যোগের ফলে রাস্তায় চলাচলকারী পথচারীরা, বিশেষ করে নারীরা স্বস্তি পাবেন বলে মনে করেন তিনি।
গণশৌচাগার নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ভূমিজের প্রতিষ্ঠাতা ফারহানা রশীদ বলেন, সব জনবহুল জায়গায় নারী ও প্রতিবন্ধীবান্ধব স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেটসেবা নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করছি। সবার সহযোগিতা পেলে এই সেবা দেশের বিভিন্ন স্থানে নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
ইউনিলিভারের মার্কেটিং বিভাগের পরিচালক তানজিন ফেরদৌস বলেন, ঢাকাবাসীর স্যানিটেশন সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য এই টয়লেট টেকসই বিজনেস মডেলের দারুণ এক দৃষ্টান্ত। এক্ষেত্রে বিভিন্ন জায়গা থেকে এই ধরনের বিজনেস মডেলে আরো বিনিয়োগ আশা করছি।